বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কেনাকাটায় দুর্নীতি, সাবেক সিভিল সার্জনের দেশত্যাগে মানা

  •    
  • ২৪ জুন, ২০২১ ১৭:১৫

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আসাদুজ্জামান দিলু জানান, ওই ৯ জন প্রতারণা ও জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন। ক্ষমতার অপব্যবহার করে চিকিৎসাসংক্রান্ত মালামাল ক্রয় ও সরবরাহের নামে তিনটি বিলের ১৬ কোটি ৭১ লাখ ৩২ হাজার ২২২ টাকা আত্মসাৎ করেন।

সাতক্ষীরায় দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলায় সাবেক সিভিল সার্জনসহ ৯ জনের দেশত্যাগের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে আদালত।

সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মালামাল ক্রয় ও সরবরাহের নামে ১৬ কোটি ৭১ লাখ ৩২ হাজার ২২২ টাকা আত্মসাতের মামলায় এ আদেশ দেয়া হয়।

জেলার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ মফিজুর রহমান গত ১৬ জুন এ আদেশ দেন। তবে আদেশের কপি বুধবার হাতে পেয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।

৯ আসামি হলেন জেলার সাবেক সিভিল সার্জন তৌহিদুর রহমান, সিভিল সার্জন অফিসের সাবেক হিসাবরক্ষক আনোয়ার হোসেন, স্টোরকিপার এ কে এম ফজলুল হক, ঢাকার সেগুনবাগিচার মেসার্স বেঙ্গল সায়েন্টেফিক অ্যান্ড সার্জিক্যাল কোম্পানির মালিক জাহের উদ্দিন সরকার, নয়াপল্টনের মেসার্স মার্কেন্টাইল ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী ও অংশীদার আব্দুর ছাত্তার সরকার; একই এলাকার মেসার্স মার্কেন্টাইল ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী আহসান হাবিব, ইউনিভার্সেল ট্রেড করপোরেশনের স্বত্বাধিকারী আসাদুর রহমান, মেসার্স মার্কেন্টাইল ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের ম্যানেজার কাজী আবু বকর সিদ্দীক ও মহাখালী নিমিউ অ্যান্ড টিসির অবসরপ্রাপ্ত সহকারী প্রকৌশলী এ এইচ এম আব্দুস কুদ্দুস।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আসাদুজ্জামান দিলু নিউজবাংলাকে জানান, ওই ৯ জন প্রতারণা ও জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন। ক্ষমতার অপব্যবহার করে চিকিৎসাসংক্রান্ত মালামাল ক্রয় ও সরবরাহের নামে তিনটি বিলের ১৬ কোটি ৭১ লাখ ৩২ হাজার ২২২ টাকা আত্মসাৎ করেন।

বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার পর তাদের গ্রেপ্তারের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়।

২০১৯ সালের ২৪ এপ্রিল তৎকালীন নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের আহ্বায়ক ফাহিমুল হক কিসলুর নেতৃত্বে জেলা সিভিল সার্জন অফিস ঘেরাও এবং প্রধানমন্ত্রী ও দুদক চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপি দেয়া হয়।

এরপর দুদকের তৎকালীন উপসহকারী পরিচালক ও বর্তমান সহকারী পরিচালক জালাল উদ্দিন ২০১৯ সালের ৯ জুলাই ওই ৯ জনের বিরুদ্ধে খুলনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলা করেন।

আসামিরা বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগের পর হাইকোর্টের নির্দেশে জামিন পান। ২০২০ সালের ৬ সেপ্টেম্বর তদন্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আসাদুজ্জামান দিলু জানান, আসামিরা যাতে দেশত্যাগ করতে না পারেন, সে জন্য ৯ জুন আদালতে আবেদন করেন জাহাঙ্গীর আলম। এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১৬ জুন আদালত এ রায় দেয়।

তবে জাহাঙ্গীর আলম জানান, তিনি বুধবার এই নিষেধাজ্ঞার কপি পেয়েছেন।

এ বিভাগের আরো খবর